রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী উত্তরার ১৫নং সেক্টরে সেনাবাহিনী,পুলিশ ও রাজউকের যৌথ অভিযানে অবৈধ বাড়ি , ফুড কোর্ট ও বউ বাজার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানের উপস্থিত ছিলেন রাজউক উত্তরা জোন-১ এর পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, উত্তরা দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্পে দায়িত্বরত কেপ্টেন মোঃ তামজিদ হাসান ও তুরাগ থানার পুলিশ।
সরকারি জমি উদ্ধারে সোমবার বেলা ১০ টায় উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টর ও মেট্রোরেল দ্বিতীয় নম্বর স্টেশন এর আশপাশের প্রায় তিনশ দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বিভিন্ন স্থাপনা গুড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এ সময় উচ্ছেদে বাধা দেওয়ার কারণে সেখান থেকে নারীসহ ৫ জনকে আটক করেছে তুরাগ থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা বলছেন,সরকারি জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরি করে এখান থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেছে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা। ৫ই আগষ্ট আঃ লীগ সরকারের পতনের পর বাজারটি দখল করতে চায় নামধারী কিছু বিএনপির লোকজন। এ বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকটি ঝামেলাও হয়েছে।
দিয়াবাড়ীর ঐ এলাকাটিতে রাত হলেই চলতো অসামাজিক কার্যকলাপ। চুরি ছিনতাই ছিলো সেখানকার নিত্য নতুন ঘটনা। এছাড়াও কিশোর গ্যাং এর উৎপাতে সবাই ছিলো আতংকিত।
উচ্ছেদ বিষয়ে জানতে বাজার কমিটির কয়েকজনের সাথে কথা চাইলে তারা বলতে রাজি হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, এখানে প্রায় ১২০টির মতন দোকান রয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, রাজউক কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই আমাদের এই বাজারটি চলতো।
৫আগস্ট এর পর সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। বাজারে আমার একটা দোকান আছে। আমার আর কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই। বর্তমানে কোথায় দোকান পাবো, কি করবো চিন্তায় আছি। প্রশাসনের উচিত ছিল আমাদেরকে কিছুদিন সময় দেয়ার । যাতে সবাই অন্য কোথাও দোকানের ব্যবস্থা করতে পারে।
যৌথ অভিযানে সেখানকার সবকটি অবৈধ দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
দোকানপাট ও অন্যান্য স্থাপনার মালিকদেরকে সময় দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে, দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্পের কেপ্টেন মোঃ তামজিদ হাসান বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই এখানে উচ্ছেদ অভিযান হবে বলে আমরা তাদেরকে জানিয়েছি। খবর পেয়ে তাদের অনেকেই এখান থেকে স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে গেছে কিন্তু বেশ কিছু স্থাপনা রয়ে গেছে।
এছাড়াও এখানে কয়েকজন সরকারি কাজে বাধা প্রধান করছিল তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের আজকের এই অভিযান।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক উত্তরা জোন-১ এর পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা করায় সেনাবাহিনী, রাজউক যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। উত্তরা ১৫/১৬/১৭ নম্বর সেক্টরে অবৈধ সকল স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এটি আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি সরকারি জায়গা কেউ দখল করবেন না।
বউ বাজার উচ্ছেদ অভিযানের সময় আটককৃতদের বিষয়ে জানতে চাইলে তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ রাহাত খান ইনকিলাবকে বলেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছে।